SARPVs is doing different humanitarian works in developing field. The statement has been given from Md. Golamur Rahman the upazila Nirbahi officer of Ukiah under Coxsbazar district in a Sensitization meeting of SARPV- Bangladesh. SARPV is taking initiatives to set-up a new office at Ukiah upazila. Considering this the meeting has been organized at Ukiah upazila. To introduce about the programs and activities of SARPV- Bangladesh. a sensitization meeting has been conducted at Ukiah Zila Parishad Auditorium on 19th May at 2010. Mr. Golamur Rahman was the chief guest of the meeting whereas Mr. Bidhan Kanti; Upazila Family planning officer, Mr. Nazim uddin; Upazila Social Welfare officer; Mr. Fazlur Rahman; Upazila Agricultural Officer were also presented in the meeting as special guest.
গত ১৯ মে ২০১০ ইং সালে উখিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর কার্যক্রম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, মুহম্মদ গোলামুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া। সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএআরপিভি বাংলাদেশের সিসিএপিডি প্রকল্পের ম্যানেজার জনাব ইউনুস হোসেন মন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব বিধান কানত্দি রুদ্র, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফজলুর রহমান এবং এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব কাজী মাকসুদুল আলম (মুহিত)। সভা পরিচালনা করেন এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (শিক্ষা) সুজিত দাশ ।
সভার উদ্বোধন করেন সভার প্রধান অতিথি উখিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মুহম্মদ গোলামুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন গুলো ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যাতে ব্যাপক উন্নয়নের রূপরেখা প্রতিফলিত হয়। এক্ষেত্রে এসএআরপিভি বাংলাদেশ একটি দৃষ্টানত্দ স্থাপন করেছে। সংস্থাটি রিকট্স মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং একই সাথে প্রতিবন্ধীতাকে প্রতিরোধ করার জন্য ও কাজ করে যাচ্ছে। যা মানবিক কার্যক্রম। সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠিকে নিয়ে এসএআরপিভি বাংলাদেশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে । তিনি এই কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা অব্যাহত রাখার অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএআরপিভি বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব কাজী মাকসুদুল আলম (মুহিত), তিনি উপস্থিত সকলকে এসএআরপিভি বাংলাদেশের এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এসএআরপিভি বাংলাদেশ ১৯৯১ইং সালে প্রলংকরী ঘুর্ণিঝড়ের পর পরই প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করেন। পরবতর্ীতে সংস্থার প্রধান নির্বাহী জনাব শহিদুল হক (বাদল) একটি বিশেষজ্ঞ দল এর সাহায্যে রিকেটস রোগ সনাক্ত করেন এবং এর উপর ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেন। তিনি আরো বলেন কঙ্বাজার জেলার চকরিয়া, মহেশখালী ও কঙ্বাজার সদর উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য রোগী চকরিয়া এসএআরপিভি ডিজএ্যাবিলিটি কমপেস্নঙ্ আসছে এবং তাদেরকে রোগ নিরূপন পূর্বক যথাসাধ্য চিকিৎসা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে পূর্নবাসন এর চেষ্টা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলায় অফিস স্থাপন করে ব্যাপক ভাবে উক্ত কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিনি উপজেলার সকল সরকারী বেসরকারী ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
রিকেটস রোগের উপর প্রামাণ্য চিত্র ঃ
সভার এ পর্যায়ে, মাল্টিমিডিয়ার ম্যাধ্যমে রিকেট্স রোগের উপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামান্য চিত্রের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব কাজী মাকছুদুল আলম (মুহিত) বলেন, যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগটি ধরা পড়ে, তাহলে শুধু মাত্র পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের মাধ্যমে রিকেট্স রোগ নিরাময় সম্ভব। তার পরও যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে অপারেশন এর মাধ্যমে তা নিরাময় এর ব্যবস্থা করতে হয়। এই পর্যনত্দ এসএআরপিভি চকরিয়া থেকে ৫৮০ জন রিকেট্স রোগীকে অপারেশন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি একজন রিকেট্স রোগীর (রোজিনা বেগম) কেইস ষ্ট্যাডি সকলের কাজে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন একজন রিকেট্স রোগী যখন ভাল হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় উক্ত পরিবারে কি আনন্দ ও প্রতিক্রিয়া তা আপনারা সকলে উপলব্দি করতে পারেন। ইতিমধ্যে উখিয়া উপজেলার ৪/৫জন রিকেট্স রোগীকে ও অপারেশন করা হয়েছে। তারা বর্তমানে আমাদের ফলোআপে আছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছে। সকলের সহযোগীতা পেলে উখিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে বলে জানান।
এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর পরিচিতি ও কার্যক্রম ঃ
এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর পরিচিতি ও কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়ার ম্যাধ্যমে উপস্থাপন করেন এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (শিক্ষা) জনাব সুজিত দাশ। যার মধ্যে ছিল :
- এসএআরপিভি বাংলাদেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে
- এসএআরপিভি বাংলাদেশের উপকারভোগী
- এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর এ্যাপ্রোচ
- প্রতিবন্ধী এবং অপ্রতিবন্ধী -সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম (প্রদীপালয়)
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন আয় মূলক কর্মকান্ড
- এসএআরপিভি বাংলাদেশ এর কর্ম এলাকা
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন
- সংবাদ সম্মেলন
- গ্রাম পযর্ায়ে বিভিন্ন মিটিং ও উঠান বৈঠক
- শিশু কেন্দ্রিক এ্যাডভোকেসি
উখিয়া উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাবু বিধান কানত্দি রুদ্র বলেন, তিনি গত সপ্তাহে চকরিয়া ডিজিবিলিটি সেন্টার পরিদর্শন করেন। উক্ত সেন্টারে দেশীয় ফিজিওথেরাপিষ্ট এবং বিদেশী ডাক্তার দ্বারা অপারেশন সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর গ্রামে গিয়ে এসএআরপিভি বাংলাদেশের কার্যক্রম সরেজমিনে দেখে অভিভূত হয়েছেন এবং সেবার ধরন দেখে মুগ্ধ। বিভিন্ন রোগীর অভিভাবক থেকে জানতে পেরেছেন, যে এসএআরপিভি বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপিষ্ট ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কমর্ীর পরামর্শ অনুযায়ী চলার কারণে তাদের সনত্দানদের অবস্থা অনেক সুস্থতার দিকে। তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন, আমরা যদি গর্ভবতী মাকে বেশী বেশী ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেই তাহলে আর কোন বাচ্চা রিকেটস জনিত কারণে প্রতিবন্ধীতার স্বীকার হবে না। আমাদের এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত ও অসচেতন। আমরা যদি একটু সচেতন হই যার যার অবস্থান তবে এই এলাকায় জনগণ রিকেট্স থেকে রেহাই পাবে ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঃ
তিনি শুরম্নতে এসএআরপিভি বাংলাদেশকে এই মহৎ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সভায় প্রদর্শিত ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে রিকেট্স রোগ সম্পর্কে বিসত্দারীত জানতে পেরেছেন এবং পূর্বে রিকেট্স রোগ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিল না। তিনি বলেন বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার সহ মানুষকে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা যায় তবে এর সুফল পাওয়া যাবে। তিনি উক্ত কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাঃ
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসএআরপিভি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ে ৪৮টি প্রোগ্রাম আছে। বেশীর ভাগ প্রোগ্রামে আমরা প্রতিবন্ধী নিয়ে কাজ করি। প্রতিবন্ধীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। রিকেট্স রোগ মূলত: মাতৃগর্ভ থেকে শুরু হয় না। এটি একটি হাঁড়ের রোগ এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এ রোগ হয়ে থাকে। আমরা নিয়মিত ক্যালসিয়াম যুক্ত শাক সবজি ডিম ও দেশীয় ফল খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিনি বলেন আমরা যারা আজ এইখানে উপস্থিত হয়েছি সবাই একসাথে কাজ করলে অবশ্যই রিকেট্স রোগ অনেকাংশে কমে আসবে।
প্রধান শিক্ষক উখিয়া সরকারী মডেল প্রাইমারী স্কুল :
এসএআরপিভি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন উখিয়াতে অনেক রিকেট্স রোগী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে। তাদের সবার সুন্দর জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, আজকের এই অবহিতকরণ সভাটি অত্যনত্দ কার্যকরী। কিছু দিন আগে এই সংস্থাটি আমার স্কুলে একটি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প করেছে। উক্ত ক্যাম্পে আমি উপস্থিত ছিলাম এবং দেখেছি। সংস্থাটি অনেক রিকেট্স রোগী ও প্রতিবন্ধীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। তিনি এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন ।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা:
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এই কবিতা দিয়ে তিনি শুরম্ন করেন। তিনি এরকম যুগোপযোগী কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য এসএআরপিভি বাংলাদেশ কে ধন্যবাদ জানান। তিনি এসএআরপিভি বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন একটি শিশু যেখানে অসহায় সেখানে তাদের হাত প্রসারিত। যেখানে একটি শিশু রিকেট্স রোগ আক্রানত্দ সেখানে তাদের হাত প্রসারিত। যেখানে একটা শিশু প্রতিবন্ধী সেখানে তাদের হাত প্রসারিত। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হউক সার্থক হউক। তিনি আরো বলেন আসুন আমরা সবাই মিলিত হয়ে রিকেটস ও প্রতিবন্ধীতার হাত থেকে আমাদের সনত্দানকে মুক্ত করে তুলি।
নুরুল ইসলাম ব্র্যাক কর্মকর্তা ঃ
এসএআরপিভি বাংলাদেশের এই কার্যক্রম সরেজমিনে দেখেছেন বলে জানান। এই সেবামূলক কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই তাদেরকে সহযোগীতা করি। তিনি বলেন তিনি তার সমসত্দ কর্মক্ষেত্রে ও সহকর্মীদের মাঝে রিকেট্স প্রতিরোধের বাতর্া পৌছে দেব। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
জয়নাল আবেদীন , প্রোগ্রাম অফিসার , কেয়ার বাংলাদেশ ঃ
তিনি বলেন এসএআরপিভি বাংলাদেশ এবং কেয়ার বাংলাদেশ যৌথভাবে সৌহাদ্য কর্মসূচীর বাসত্দবায়ন করেছে। এসএআরপিভি বাংলাদেশের কার্যক্রম খুবই সুন্দর। তারা যে, প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা অত্যনত্দ গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট দক্ষ কমর্ী ও ডিজিবিলিটি কমপ্লেঙ্ রয়েছে। কেয়ার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঃ
প্রতিবন্ধীতা বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে উখিয়ার মতো একটি প্রত্যনত্দ অঞ্চলে কাজ করতে এগিয়ে আসার জন্য এসএআরপিভি বাংলাদেশ কে স্বাগত জানান। রিকেট্স প্রতিরোধে করণীয় সমূহ তিনি তার সহকমর্ীদের সাথে প্রচার করবেন এবং যাতে তারা তা গ্রাম পর্যায়ে তা প্রচার করেন। তিনি এসএআরপিভি বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
জনাব ইউনুস হোসেন মন্টু তার সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত হয়ে সভাকে সফল ও সার্থক করতে সহযোগীতা করায় সকলের প্রতি আনত্দরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন যে, দিনব্যাপি যে প্রানবনত্দ আলোচনা হয়েছে তাতে উখিয়া উপজেলায় সংস্থার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পথ সহজ করেবে।
[/fusion_text][/fusion_builder_column][/fusion_builder_row][/fusion_builder_container]